বাউল শিল্পী আশালতার লকডাউনের দিন
দীর্ঘ ছয়মাস অপেক্ষা। তারপর লোকশিল্পীদের মুখে হাসি ফুটল। বাউল শিল্পী আশালতা অবশেষে বরাত পেল প্রোগ্রামের। পর পর তিনটি। এতদিন মাসে মাসে শিল্পীভাতার হাজার টাকা জমা পড়ছিল। কিন্তু মনে শান্তি ছিল না। ঘরে বন্ধ থাকতে থাকতে অস্থির হচ্ছিল মন। অন্যদিকে সামাজিক দূরত্বের কারণে দলের রেওয়াজও ছিল বন্ধ। আনলক-৫ ভাগ্যের তালা খুলেছে আশালতার। পুজার আগেই তিনটি অনুষ্ঠানের তিন হাজার টাকা এসেছে। আশালতার আনন্দের শেষ নেই।
লকডাউনের পর থেকেই মনমরা ছিল আশালতা। বাতিল হয়েছিল নিজেদের সাত জনের দলের প্রোগ্রামও । অন্যদিকে সরকারি অনুষ্ঠানও ছিল বন্ধ। সব মিলিয়ে খুব কষ্টের যাপন ছিল আশালতার। স্বামী রাজমিস্ত্রীর কাজ করত। সেও বেকার বাড়িতে বসে। পারিবারিক অভাবকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল গান না গাইতে পারার কষ্ট। নিজের বলতে আশালতার এই বাউলগানটাই। আছে দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সবাই স্কুলে পড়ে। কিন্তু স্কুলও বন্ধ। পারিবারিক চাপও ছিল আশালতার মাথার উপর। আপাতত সেসবে একটুখানি ছেদ পড়ল।
শেষমেশ আশা সব কাটিয়ে কাজে ফিরল। সূযোগও সামনে এসে গেল। পথশ্রীর জন্য,কৃষি বিলের প্রতিবাদে গান বাঁধল আশারা। সামনে দিকে চোখ সাজিয়ে এখন আগামীর অপেক্ষা।
গনকর,মুর্শিদাবাদ
No comments:
Post a Comment