প্রতিমা শিলপী অনামিকা,দিপালী,ছবির লকডাউন যাপন
পুজো চলে এসেছে। কিন্তু প্রতিমাশিল্পীদের সকলেরই আগের মত হাতে কাজ নেই। গতবারই ছিল আঠেরোটি পুজার বায়না। এবারে মাত্র ছয়টি। তাও আবার আগেরবছরের তুলনায় অর্ধেকের কম বায়না। অনামিকা পটুয়া, দিপালী ও ছবি পটুয়ায় মন তাই স্বভাবতই খারাপ। স্বামীরা ঘুরে ঘুরে এর বেশি বায়না জোগাড় করতে পারেনি। আবার প্রতি বছর কয়েকটি পটুয়া ও ঘোষ ঘর মিলে নিজেদের দুর্গাপুজা হয়। সেটাও বন্ধ। দুর্গাপুজার বায়না সেরকম না মেলায় নিজেদের পুজাটারও বাজেট জোগাড় করা যায় নি। প্রায় ১২ বছরের বেশিদিন ধরে চিত্রকরদের নিজেস্ব পাড়ার দুর্গাপুজা তাই বন্ধ। মনমরা বাতাবরণ মুর্শিদাবাদ গনকর চিত্রকর পাড়ায়।
প্রতিবছরের ব্যস্ত সময়ে এবারে যোগ হয়েছে অন্য শুন্যতা। অনামিকাদের আবার কাজে বাধ সেধেছে রাস্তা। খারাপ রাস্তা দিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া কঠিন। সে ভেবেও হয়ত কেউ কেউ আসে নি ঠাকুরের অর্ডার নিতে। এমনটা দিপালীদেরও মনে হচ্ছে। প্রতিমা তৈরির ঘরানায় বাড়ির সকলে যুক্ত। দিপালী পটুয়ার মেয়ে পিয়ালী উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছে। মা -মেয়ে মিলে বারো দিনেই একটা ঠাকুর করে ফেলে। আট থেকে বারো হাজার টাকা ঠাকুরপিছু পায়। কাজ শেষে আড়াই থেকে চার হাজার টাকা নিজেদের থাকে। সারাবছরে দুর্গাপুজার সময় বড় উপার্জন সেটাও এবারে হল না। প্রতিমা তৈরি একমাত্র জীবিকা দীপালিদের। সেখানেও বড্ড মুশকিলের মুখোমুখি এবারে। তবুও কাজ চলছে সেই আগের উৎসাহ নিয়েই। মুখে হাসি অমলিন মহিলা পটুয়াশিল্পীদের।
গণকর,রঘুনাথগঞ্জ,মুর্শিদাবাদ
No comments:
Post a Comment