কাঁথাষ্টিচ শিল্পী সোনালির লকডাউন যাপন
মেয়েদের সুন্দর মুখের নয়, সুন্দর কাজের জয় সর্বত্র। সাফল্যের সীমানা দিগন্তপার। তাইতো সোনালীদের এত ঝকঝকে হাসি। পরিচ্ছন্ন মুখ। কাজ সুন্দর হয়। তাইতো মুখশ্রী মন জয় করে নেয়। ব্যক্তিত্ব নজর কাড়ে। মুর্শিদাবাদের সোনালীর গল্প সেইরকম। সফল ব্যবসায়ী,সফল মা। ছেলে ব্যাঙ্গালোরে আই টি কর্মী। দীর্ঘ দশ বছর ধরে নিজের হাতেই ষ্টিচ ও ডিজাইনার শাড়ির ব্যবসা সামলানো। নিজের ডিজাইনিং কোর্সও কলকাতা থেকে করে আসা। সেখানেও নিজের ব্যবসা প্রমোট করা। সবটাই সোনালীর নিজের ক্ষমতা ও চেষ্টায়।
লকডাউনে সেল জিরো। বিশ্ববাংলার হাটে মেলা শুরু। আবার জেলায় জেলায় মেলার প্রস্তুতি হবে হয়ত। কিন্তু সোনালীরা থেমে থাকেনি। মুর্শিদাবাদের বহরমপুরেই 'সোনাঝুড়ির হাট' নামিয়ে আনছে তারা। নিজেরাই বসে না থেকে উদ্যোগ নিতে চলেছে।
সোনালীর গুজরাটি ও কাশ্মিরি ষ্টিচের শাড়ি মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতায় শুধু গেছে তা নয়। আমেরিকায় পাড়ি দিয়েছে। গেছে দেড়শো গুজরাটি কাজের চাদর ও শাড়ি । খুব প্রশংসিত হয়েছে তার হাতের কাজের শাড়ি। পঁয়ত্রিশ জন মেয়ে কাজ করে সোনালীর কাছে। মেয়েদের জন্য লকডাউনে চালু রেখেছিল সোনালী কাজ। এবার আশার আলো। মেলা তো শুরু। সেলের খাতায় নয় মাস পর অংক বসানোর পালা! সোনালীদের দক্ষতা নিয়ে বলার মানুষ কম। দেশ পেরিয়ে সুদূর আমেরিকার মাটি জয় করছে সোনালীর ডিজাইন করা শাড়ি! মুর্শিদাবাদের এই সফল মহিলাকে না জানলে,না চিনলে নবাবের দেশকে আর কী চেনা!
বহরমপুর,মুর্শিদাবাদ