জোহরার লকডাউন যাপন
"কেহু খ্যাতে দিলে খাই। না হয়ত না খ্যায়ে পড়ে থাকি দুইঝনা।" লকডাউনের দিন এভাবেই কেটেছে জোহরার। তবুও জোহরা খুব জোর বেঁচে গেছে। আমপানে বাড়িটা মাটিতে লুটিয়ে পড়ার কথা। সারা রাত জেগেই কেটেছে জোহরার। সকালে বাড়িটা খাড়া দেখে জোহরা নিজেই অবাক। এই মাটির বাড়িতেই জীবন কেটে গেছে। জানেই না প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কথা। পাকা বাড়ির স্বপ্ন কোনও দিন তাই মনেই আসেনি। লকডাউনে একদিন আখা জ্বলেছে তো দুই দিন বন্ধ। লকড়ি পাওয়া খুব সমস্যা। নেই ঘরে অন্য জ্বালানির ব্যবস্থা। তবু লকডাউন ও আমপানের দাপট মাথায় নিয়ে বেঁচে গেল জোহরা ও তার মাটির ঘর।
বাড়িতে ছাগল মুরগি পালন করে জোহরা। তা থেকেই আয় হয় জোহরার সংসারের। মুরগির ডিম বিক্রী করে নিয়মিত। সেই থেকে কিছু পয়সা পায়। তা দিয়েই মেটে তেল লবন কেনার খরচ। বাড়ির পোষা ছাগল বিক্রী করে আসে টাকা। সারাবছর এভাবেই চলে। স্বামী বহুদিন থেকেই কাজ করতে পারেনা। বার্ধ্যক্যজনিত অসুবিধে। ছেলে ভিন্ন হয়ে গেছে। মেয়েরা এসে মাঝে মাঝে রান্না করা খাবার দিয়ে যায়। ঘরে চাল আছে। তা সেদ্ধ করার উপায়ও হাতের কাছে নেই। যেদিন জোটে না সেদিন মুখ গুঁজে পড়ে থাকে। লকডাউনে বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব অসুবিধেয় পড়েছে জোহরা। জোহরা বলে, "সারাজীবন ডিম আর এটা -ওটা বেঁচে এমন করেই চালিয়েছি। ছেলেমেয়ে মানুষ করেছি। লকডাউন শুধু প্রতিদিনের আখাটা জ্বলতে দিল না।" আবাস যোজনায় অনেকের বাড়ির বরাত এসেছে এবারে। দেখা যাচ্ছে, যার বাড়ি আছে তার নামও আরেকবার চলে এসেছে। জোহরার বাড়ির চেহারা বলছে তিনি অন্যতম দাবিদার। কিন্তু তিনি জানেন না তার নাম আছে কিনা! দেখে দেওয়ার মত লোকও নেই তার। জোহরাদের মত যারা উজালা ও আবাস যোজনার আওতায় এলো না তাদের কি হবে? সারাজীবন পাতা-কাঠ জোগাড় করে দিয়ে রান্না করে যাবে? একটা পাকা বাড়ি ও সিলিন্ডারের স্বপ্ন নিয়ে জীবন কেটে যাবে? এদের জন্য ব্যবস্থা করা যাদের কথা ছিল তারা দুর্দিনে দুই কেজি চাল ও একটি তেলের বোতল দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিল। কিন্তু গনতান্ত্রিক অধিকার ও সরকারি ঘোষণা সুবিধে পাওয়ার জন্য যে সামর্থ্যটুকু প্রয়োজন সেটাই অর্জন করলো না। এদের সূযোগ পাওয়ার জন্য ফর্মটাও কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসে ভরে দিল না। গ্রাম স্বরাজের আদর্শের তলায় চাপা পড়ে থাকল জোহরাদের দীর্ঘশ্বাস। কুলগাছি,শেখপাড়া ,ভগবানগোলা ১
বাড়িতে ছাগল মুরগি পালন করে জোহরা। তা থেকেই আয় হয় জোহরার সংসারের। মুরগির ডিম বিক্রী করে নিয়মিত। সেই থেকে কিছু পয়সা পায়। তা দিয়েই মেটে তেল লবন কেনার খরচ। বাড়ির পোষা ছাগল বিক্রী করে আসে টাকা। সারাবছর এভাবেই চলে। স্বামী বহুদিন থেকেই কাজ করতে পারেনা। বার্ধ্যক্যজনিত অসুবিধে। ছেলে ভিন্ন হয়ে গেছে। মেয়েরা এসে মাঝে মাঝে রান্না করা খাবার দিয়ে যায়। ঘরে চাল আছে। তা সেদ্ধ করার উপায়ও হাতের কাছে নেই। যেদিন জোটে না সেদিন মুখ গুঁজে পড়ে থাকে। লকডাউনে বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুব অসুবিধেয় পড়েছে জোহরা। জোহরা বলে, "সারাজীবন ডিম আর এটা -ওটা বেঁচে এমন করেই চালিয়েছি। ছেলেমেয়ে মানুষ করেছি। লকডাউন শুধু প্রতিদিনের আখাটা জ্বলতে দিল না।" আবাস যোজনায় অনেকের বাড়ির বরাত এসেছে এবারে। দেখা যাচ্ছে, যার বাড়ি আছে তার নামও আরেকবার চলে এসেছে। জোহরার বাড়ির চেহারা বলছে তিনি অন্যতম দাবিদার। কিন্তু তিনি জানেন না তার নাম আছে কিনা! দেখে দেওয়ার মত লোকও নেই তার। জোহরাদের মত যারা উজালা ও আবাস যোজনার আওতায় এলো না তাদের কি হবে? সারাজীবন পাতা-কাঠ জোগাড় করে দিয়ে রান্না করে যাবে? একটা পাকা বাড়ি ও সিলিন্ডারের স্বপ্ন নিয়ে জীবন কেটে যাবে? এদের জন্য ব্যবস্থা করা যাদের কথা ছিল তারা দুর্দিনে দুই কেজি চাল ও একটি তেলের বোতল দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে নিল। কিন্তু গনতান্ত্রিক অধিকার ও সরকারি ঘোষণা সুবিধে পাওয়ার জন্য যে সামর্থ্যটুকু প্রয়োজন সেটাই অর্জন করলো না। এদের সূযোগ পাওয়ার জন্য ফর্মটাও কেউ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে এসে ভরে দিল না। গ্রাম স্বরাজের আদর্শের তলায় চাপা পড়ে থাকল জোহরাদের দীর্ঘশ্বাস। কুলগাছি,শেখপাড়া ,ভগবানগোলা ১
No comments:
Post a Comment