সবিতা ও কবিতা মুর্মূর লকডাউন যাপন
সবিতা মুর্মূও কবিতা মুর্মূ। বয়স মাত্র চার ও সাত বছর। আমবাগানে দাঁড়িয়ে। বাবার জন্য অনন্ত অপেক্ষার দিন শুরু। বাবা দিলীপ মুর্মূ অভিবাসী শ্রমিক। ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ। ধান কাটার কাজে। সাপের কামড় খেয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সবিতা ও কবিতার মা নেই। বাবার সঙ্গে এসে আমবাগানের ছাউনিতেই ছিল দুই বোন। দিন চারেক আগে সাপে কামড়ে দেয় দিলীপ মুর্মূকে। দুটি ফুলের মত জীবনকে অতলান্তিক জলরাশির মধ্যে ভাসিয়ে দিয়ে হাত ছাড়লেন বাবা। চারদিনের লড়াই শেষমেশ একেবারে অনাথ করে দিল সবিতা ও কবিতাকে। দিলীপ মুর্মূর শরীর জাগতিক লড়াই ছেড়ে পাড়ি দিল অমর্ত্যলোকে। মা হারা দুই শিশু এবার বাবা হারিয়ে পড়ে রইল ভিনদেশের অচেনা গাঁয়ে।সবিতা মুর্মূও কবিতা মুর্মূ। বয়স মাত্র চার ও সাত বছর। আমবাগানে দাঁড়িয়ে। বাবার জন্য অনন্ত অপেক্ষার দিন শুরু। বাবা দিলীপ মুর্মূ অভিবাসী শ্রমিক। ঝাড়খন্ড থেকে এসেছিলেন মুর্শিদাবাদ। ধান কাটার কাজে। সাপের কামড় খেয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। সবিতা ও কবিতার মা নেই। বাবার সঙ্গে এসে আমবাগানের ছাউনিতেই ছিল দুই বোন। দিন চারেক আগে সাপে কামড়ে দেয় দিলীপ মুর্মূকে। দুটি ফুলের মত জীবনকে অতলান্তিক জলরাশির মধ্যে ভাসিয়ে দিয়ে হাত ছাড়লেন বাবা। চারদিনের লড়াই শেষমেশ একেবারে অনাথ করে দিল সবিতা ও কবিতাকে। দিলীপ মুর্মূর শরীর জাগতিক লড়াই ছেড়ে পাড়ি দিল অমর্ত্যলোকে। মা হারা দুই শিশু এবার বাবা হারিয়ে পড়ে রইল ভিনদেশের অচেনা গাঁয়ে।মলকডাউনের মধ্যেই তাদের তালাবন্দি ভাগ্যের চাবি গুম হয়ে গেল।
শৈশব ঝরে গেল অকালে। সামনে এই বিস্তর পথ হাঁটার জন্য একটি স্নেহের আঙুলও রইল না পথ দেখানোর। বাবার মজুর জীবন ক্ষেতেই শেষ হয়ে গেল। শ্রমিক সন্তানরা পথের শুরুই দেখতে পেল না। অসুখের মুখ দেখার আগেই জীবনের আয়নাটা সরে গেল!
কুলগাছি,ডাঙাপাড়া,ভগবানগোলা
No comments:
Post a Comment