পূর্ণিমার লকডাউনের দিন
ছোলা কিনে ছাতু তৈরির ব্যবসা পূর্নিমার। বিয়ের পর থেকেই এই ব্যবসা শুরু। স্বামী চোখে ভালো দেখে না। তাই ঘরে বসেই চলে এই ব্যবসা। লকডাউন বাধ সেধেছে রোজগারে। বাজারে ছোলা কেনা যায়নি। তাই তা এনে ভেজে ও পিষে প্যাকেট করে বিক্রীর কাজও বন্ধ। মাসে ৩০-৩৫ কেজি ছাতু বিক্রী হয় পুর্ণিমার। ৫০/১০০/২০০/৫০০ সবরকম দামের প্যাকেট তৈরি করে। লকডাউনে কাজ আটকে পড়ে আছে। বছর পঁয়ত্রিশের পূর্ণিমা একেবারে নাজেহাল।
ছাতু বিক্রী করে লাভ থাকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ছেলের ছয় বছর। নিজের অভাবের পরিবার ।তাই পূর্ণিমার লেখাপড়া শেখা হয়নি। সময়ের আগেই বিয়ে। সেখানেও খুব বেশী স্বচ্ছলতা নেই। স্বামীর নিজেস্ব ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। শারীরিক অসুস্থতার জন্য। পুর্ণিমাকে সংসারের দায় কাঁধে তুলে নিতে হয়। পরিবারে সময় দিয়ে উপার্জনের কথা ভেবেই ছাতু বিক্রীর কথা মাথায় আসে। সাহস করে ব্যবসা শুরু করে পূর্ণিমা। তারপর এই লকডাউনের যন্ত্রণা। টানা দুই মাস পর কাজ শুরু হলেও বিক্রী কমে যায়। ঘরের বাইরে লোক কম বেরোতে থাকে। প্যাকেটস্থ ছাতু বাড়িতেই পড়ে আছে উদ্বৃত্ত।
পূর্ণিমা অপেক্ষা করছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার। সংসার চালানো খুবই কঠিন। জমানো কিছু টাকা খরচ হয়ে যাওয়ায় আশংকা আগামীতে কী হবে? ছেলে নিয়ে একদম কঠিন লড়াই এর দিন কাটছে পূর্ণিমার।
গোকর্ণ,মুর্শিদাবাদ
No comments:
Post a Comment